মানুষের জীবনে দিন শেষে বন্ধুই সব।
আমাদের প্রতিদিনের সাথী যারা তারাই আমাদের বন্ধু। বন্ধু হতে পারে বাবা-মা হতে পারে ভাই-বোন কিংবা অন্যান্য কেউ পরিবারের লোক।
বন্ধুদের নিয়ে আসলে বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হয় আর না বললে কিছুই বলার নেই।
মাধ্যমিক স্কুলেই আসলে বন্ধুত্ব জমে উঠে। আস্তে আস্তে কলেজ ভার্সিটির বন্ধুত্বের মাঝেও ডুবে যায় অনেকে।
আসলে অনেকে না প্রায় সবাই।
আমাদের প্রতিদিনের কাজের ফাকে মনকে ফ্রেস করতে এই কিউট হারামি বন্ধু গুলোই শত বেদনা বুকে নিয়েও প্রান ভরে হাসায় আর নিজেও প্রান ভরে হেসে নিজেদের ফ্রাস্টেশন ঝেড়ে ফেলে দেয়।
অনেকেই বলে
"আরে যেই বন্ধু খিস্তি দেয় না ও আসলে মন থেকেই ভালোবাসে না"
সত্যিই বন্ধুর খিস্তির মাঝেও যে একটা লুকায়িত ভালোবাসা আছে তা দুনিয়ার অন্য কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না।
আমার বন্ধুদের নিয়ে আমি আসলেই বেশ খুশি। ওদের মাঝেই থাকতে চাই আজীবন।
বন্ধুত্ব আসলে কি?
বন্ধু হলো ভালোবাসার আরেক নাম। আর বন্ধুত্ব হল এমন একটি পাহাড়, এমন একটি দুর্গ যেখানে যা কোনদিন ভেঙে পড়ার নয়।
হাই স্কুল লাইফে যে বন্ধুত্ব শুরু হয় সে বন্ধুত্ব অটুট থাকে আজীবন। শুধু হাইস্কুলে নয় অনেক সময় বন্ধুত্ব শুরু হতে পারে কলেজ লাইফে আর সেই বন্ধুত্ব টিকে থাকে হাজার বছর।
বন্ধুত্ব আসলে কি সেটা বলে বোঝানো যায় না। বন্ধুত্ব নিজের ইচ্ছেতে থেকেও হয়না। আর যদি বন্ধুত্ব হয়ে যাই সেটা কোনোদিন ভেঙে পড়ে না। যে বন্ধুত্ব ভেঙে পড়ে সেটি আসলে কোনদিন বন্ধুত্ব ছিল না।
বন্ধুত্বের সংজ্ঞা কি?
উত্তরঃ বন্ধুত্বের কোন সংজ্ঞা হয় না। বন্ধুত্ব একটি প্রানের সম্পর্ক। বন্ধুত্ব হলো একটি ব্রান্ড। বন্ধুত্ব যেমন নিজের ইচ্ছেই করে ওঠে না তেমনি নিজের ইচ্ছেতে ভেঙে পড়েনা।
বন্ধুত্বের স্থায়ীকাল;-
বন্ধুত্বের স্থায়ীকালে নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। বন্ধুত্ব টিকে থাকে আজীবন। সকল দুঃখ সুখের সময়ে বন্ধুই সর্বদা পাশে থাকে।
পরিবারের লোকদের পর যদি কেউ আপন হয়ে থাকে তাহলে তারাই হলো বন্ধুরা।
বন্ধুত্বের একাল সেকাল ;-
আসলে বন্ধুত্বের কোন কাজ হয়না। বন্ধুত্বে বিয়ে বছর আগে যেমন ভালোবাসা ছিল আজও ঠিক তেমনি ভালবাসা আছে শুধু প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন।
প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও বন্ধুত্ব আজও সেই পুরনো বন্ধুত্ব রয়ে গেছে।
বর্তমানে বন্ধুত্ব নিয়ে কিছু ভুল ধারনাঃ-
অনেকেই ভাবে বর্তমানের বন্ধুত্ব আসলে পরিবর্তন হয়ে গেছ। আসলে বন্ধুত্বের একাল সেকাল আগের মতই আছে। শুধু প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ার কারণে মানুষ বন্ধুত্ব এবং বন্ধুদের নি ভুল ধারণা পোষণ করে থাকে।
বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেলে হাওয়ার গতিতে রাস্তায় চলাফেরা করা এটাকেই বন্ধুত্ব বলে না।
বন্ধুত্বের অপব্যবহার ;-
বর্তমান অনেকেই খারাপ সঙ্গ পেয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে।
আসলে এখানে দোষটা বন্ধুত্বের নয়। অসামাজিক কাজ বন্ধুদের সাথে মিলে করার প্রবণতাকে বর্তমানে কিশোরগ্যাং হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বর্তমান সমাজে কিশোর গ্যাং একটি সামাজিক বেদীতে রূপ ধারণ করেছে। এটি বন্ধুত্বের অপব্যবহারের সময় উপযোগী একটি উদাহরণ।
বন্ধুদের উপকারিতা ;-
বর্তমান সমাজের বেশিরভাগ যুবকই নানা অপকর্মের সাথে লিপ্ত। তারা মাদকসহ নানান অসামজিক কাজে লিপ্ত আছে।
বন্ধুত্বই পারে তাদের সেই অসামাজিক কাজ থেকে দূরে রাখতে। বন্ধুত্ব হল চোখ দেখে বলে দেওয়া তার মনে আসলে কি চলছে। একজন প্রকৃত বন্ধু মুখ দেখে তার শারীরিক-মানসিক অবস্থা বলে দিতে পারে।
সুখের সময় আছো তুমি দুঃখের সময় নাই আসলে তুমি বন্ধুত্ব মানেই বুঝনা। বন্ধু হল বিপদে সবার আগের কাতারে থাকা লোক।
তাইতো বন্ধু তোদের মন থেকে ভালবাসি। পাশে ছিলি পাশে থাকিস এভাবেই ভালবেসে যাস।
বন্ধু একটা ভালোবাসার নাম। তাই সবাই আমাদের বন্ধুদের মাঝে থাকার চেষ্টা করবো 🥰
বন্ধুত্ব হল ফ্রাস্টেশন কাটানোর একটি অভিনব পদ্ধতি।
আমার এই ব্লগটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে দয়া করে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
1 Comments